বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতে স্টার্টআপ সংস্কৃতির উত্থান

বাংলাদেশে প্রযুক্তি খাতে স্টার্টআপ সংস্কৃতির উত্থান, এর চ্যালেঞ্জ, সফলতা, এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা।
TechJhuri

বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাত গত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে, এবং এর একটি বড় অংশজুড়ে রয়েছে স্টার্টআপ সংস্কৃতির উত্থান। এই ব্লগে আমরা আলোচনা করবো কীভাবে বাংলাদেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে উঠছে, এর পেছনের কারণগুলো, চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যতের সম্ভাবনা।

বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতে স্টার্টআপ সংস্কৃতির উত্থান

বাংলাদেশ, একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে, অনেক বাধা অতিক্রম করে বর্তমানে প্রযুক্তির দিকে অগ্রসর হচ্ছে। জনসংখ্যার বৃহত্তর অংশ তরুণ, যারা প্রযুক্তির ব্যবহার এবং উন্নয়নে আগ্রহী। এই প্রেক্ষাপটে, স্টার্টআপ সংস্কৃতি গত কয়েক বছরে বিশেষ করে ২০১০ সালের পর থেকে অভূতপূর্ব উত্থান দেখছে। 

স্টার্টআপ মূলত এমন একটি ব্যবসা যা নবীন উদ্যোক্তারা নতুন বা উদ্ভাবনী ধারণা নিয়ে শুরু করে, যার লক্ষ্য সাধারণত একটি নির্দিষ্ট সমস্যার সমাধান করা। এই সংস্কৃতির প্রসার ঘটানোর ক্ষেত্রে প্রযুক্তির অবদান বিশাল। বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতের স্টার্টআপগুলো যেমন ই-কমার্স, ফিনটেক, এডুটেক এবং স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে। 


বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতে স্টার্টআপের শুরু

বাংলাদেশের স্টার্টআপ খাত মূলত ২০১০ সালের পরে প্রসারিত হতে শুরু করে। প্রথমদিকে, কিছু উদ্যমী তরুণ নতুন নতুন উদ্যোগ নিয়ে কাজ শুরু করেন, যা পরবর্তীতে একটি সফল স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে রূপ নিতে থাকে। ২০১৩ সালের পর থেকে মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা স্টার্টআপ গঠনের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। 

তথ্যপ্রযুক্তির (আইটি) সম্প্রসারণের ফলে উদ্যোক্তারা বিভিন্ন সেক্টরে নতুন নতুন উদ্যোগ নিতে শুরু করে, যেমন ফিনটেক, এডুটেক, হেলথটেক, ই-কমার্স, এবং রাইড-শেয়ারিং। উদাহরণস্বরূপ, বিকাশ এবং নগদ এর মতো মোবাইল ব্যাংকিং এবং পেমেন্ট সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর সাফল্য প্রমাণ করে যে, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের মাধ্যমে কীভাবে দেশের অর্থনৈতিক চাকা ত্বরান্বিত করা যায়।

স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের প্রধান উপাদান

বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে উঠতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান কাজ করেছে। নিচে এর কয়েকটি উল্লেখ করা হলো:

  1. তরুণ জনসংখ্যা: বাংলাদেশের একটি বড় অংশ তরুণ, যারা নতুন প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহী এবং উদ্ভাবনী ধারণা নিয়ে কাজ করতে ইচ্ছুক। এই তরুণরা উদ্যোক্তা সংস্কৃতিকে ত্বরান্বিত করছে এবং বিভিন্ন স্টার্টআপ গঠন করছে।
  2. মোবাইল এবং ইন্টারনেট সহজলভ্যতা: মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা দেশের স্টার্টআপ খাতকে বিপুলভাবে প্রভাবিত করেছে। অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা এবং সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ত্বরান্বিত হওয়ার পেছনে ইন্টারনেট ব্যবহারের ব্যাপক বৃদ্ধি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
  3. সরকারের সহায়তা: বাংলাদেশ সরকার প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নের জন্য নানান উদ্যোগ নিয়েছে। আইসিটি মন্ত্রণালয় এবং বেসিস (বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস) এর মতো সংস্থাগুলো প্রযুক্তি খাতের উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন ধরনের সুবিধা ও পরামর্শ প্রদান করছে।
  4. বৈদেশিক বিনিয়োগ: বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক বিনিয়োগকারী স্টার্টআপগুলোতে আগ্রহী হচ্ছেন। প্রযুক্তিগত স্টার্টআপগুলোর উদ্ভাবনী ধারণা এবং তাদের সম্ভাবনা অনেক বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করছে। যেমন, ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম শপআপ সম্প্রতি ২০২৩ সালে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ পেয়েছে, যা দেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমকে আরও শক্তিশালী করছে।

স্টার্টআপের সফলতা এবং চ্যালেঞ্জ

বাংলাদেশের স্টার্টআপ সংস্কৃতি এখনো শৈশব পর্যায়ে থাকলেও বেশ কয়েকটি স্টার্টআপ সফলভাবে বাজারে নিজেদের অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। যেমন, পাঠাও, শেয়ার ট্রিপ, এবং চালডাল। এরা প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের দৈনন্দিন জীবনে সেবা প্রদান করছে এবং ক্রমাগত তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণ করছে।

তবে, সফলতার পাশাপাশি কিছু চ্যালেঞ্জও বিদ্যমান:

  1. বিনিয়োগের অভাব: যদিও কিছু বড় স্টার্টআপ আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে, অনেক নবীন উদ্যোক্তা পর্যাপ্ত মূলধন সংগ্রহ করতে হিমশিম খাচ্ছেন।
  2. পরামর্শের অভাব: অনেক স্টার্টআপের উদ্যোক্তাদের কাছে পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা এবং সঠিক পরামর্শের অভাব থাকে। ফলে তারা ব্যবসার সঠিক দিকনির্দেশনা পেতে ব্যর্থ হয়।
  3. বাজারের প্রতিযোগিতা: বর্তমানে স্টার্টআপগুলোর মধ্যে বাজার দখল নিয়ে প্রচণ্ড প্রতিযোগিতা চলছে। যে স্টার্টআপগুলো তাদের প্রডাক্ট বা সেবা ভিন্নভাবে উপস্থাপন করতে পারছে না, তারা বাজার থেকে হারিয়ে যাচ্ছে।
  4. আইনগত প্রতিবন্ধকতা: বাংলাদেশের ব্যবসায়িক পরিবেশ এখনো অনেক ক্ষেত্রেই আইনগত বাধার সম্মুখীন হয়। সহজ ব্যবসায়িক নীতিমালা, কর্পোরেট করের উচ্চ হার, এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতা স্টার্টআপগুলোর দ্রুত বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করছে।

উদীয়মান প্রযুক্তি স্টার্টআপের ক্ষেত্র

বর্তমানে কিছু উদীয়মান প্রযুক্তি ক্ষেত্র রয়েছে, যা বাংলাদেশের স্টার্টআপগুলোর আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ক্ষেত্রগুলোতে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ এবং উদ্ভাবন দেখা যাচ্ছে।

  1. ফিনটেক: অর্থনৈতিক লেনদেনের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলি বাংলাদেশে খুব দ্রুত প্রসারিত হচ্ছে। বিশেষত মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস (MFS) সেক্টরে প্রচুর উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে। যেমন বিকাশ, নগদ, এবং রকেট মোবাইল ব্যাংকিংয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। এছাড়া, ফিনটেক স্টার্টআপগুলো ক্রেডিট স্কোরিং, মাইক্রোফিন্যান্স এবং বীমা খাতেও উদ্ভাবন আনছে।
  2. ই-কমার্স: ই-কমার্স সেক্টর বাংলাদেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের অন্যতম বড় অংশ। দারাজ, চালডাল, শপআপ এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলো ক্রেতাদের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করছে। এই খাত ভবিষ্যতে আরও বড় আকার ধারণ করতে পারে, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলোর প্রসার ঘটানোর মাধ্যমে।
  3. এডুটেক (EdTech): কোভিড-১৯ মহামারির সময় এডুটেক স্টার্টআপগুলোর ব্যাপক উত্থান ঘটে। শিক্ষার ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে সহজলভ্য শিক্ষা উপকরণ পৌঁছানোর লক্ষ্য এডুটেক স্টার্টআপগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। রবি টেন মিনিট স্কুল এবং শিখো এর মতো উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের জন্য ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে।
  4. স্বাস্থ্য প্রযুক্তি (HealthTech): স্বাস্থ্যসেবা সেক্টরেও স্টার্টআপগুলো উদ্ভাবনী পদ্ধতি নিয়ে আসছে। অনলাইন স্বাস্থ্য পরামর্শদাতা প্ল্যাটফর্ম এবং মেডিকেল সার্ভিস ডেলিভারি সিস্টেমগুলো, যেমন ডক্টরোলা এবং প্রাভা হেলথ নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। এতে করে স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য ও দ্রুততর হচ্ছে।

ভবিষ্যতের সম্ভাবনা এবং দিকনির্দেশনা

বাংলাদেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম এখনও পূর্ণতা পায়নি, তবে এর সম্ভাবনা অসীম। তরুণ উদ্যোক্তারা উদ্ভাবনী আইডিয়া নিয়ে দেশের উন্নয়নের পথে নতুন দিক উন্মোচন করছে। ভবিষ্যতে স্টার্টআপ সংস্কৃতিকে আরো দৃঢ় এবং টেকসই করার জন্য কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে:

  1. নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), ব্লকচেইন, এবং ইন্টারনেট অব থিংস (IoT) এর মতো নতুন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে স্টার্টআপগুলোকে কাজ করতে হবে। এই ধরনের উদ্ভাবনগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে নিজেদের শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে সাহায্য করবে। এছাড়া, এই প্রযুক্তিগুলো গ্রহণ করার মাধ্যমে বিভিন্ন সেক্টরে যেমন স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, আর্থিক খাত এবং কৃষিতে নতুন সমাধান তৈরি করা সম্ভব হবে।
  2. উদ্যোক্তা উন্নয়ন এবং প্রশিক্ষণ: বাংলাদেশের তরুণ উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণ এবং মেন্টরশিপ প্রোগ্রামের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রোগ্রামগুলোতে অভিজ্ঞ ব্যবসায়িক নেতাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা গেলে, নবীন উদ্যোক্তারা তাদের ব্যবসায়িক পরিকল্পনা এবং কৌশল আরও ভালোভাবে সাজাতে পারবেন। 
  3. বিনিয়োগের সহজলভ্যতা বৃদ্ধি: বাংলাদেশে স্টার্টআপগুলোকে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়ার জন্য বেসরকারি খাতের বিনিয়োগকারীদের আরও সম্পৃক্ত করতে হবে। অ্যাঞ্জেল ইনভেস্টর এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ডের সহজলভ্যতা বাড়াতে হবে। সরকারের উচিত কর্পোরেট ট্যাক্স ছাড়, স্টার্টআপদের জন্য সহজ ঋণ সুবিধা এবং প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তার মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করা। 
  4. বৈশ্বিক সংযোগ বৃদ্ধি: বাংলাদেশের স্টার্টআপগুলোকে বৈশ্বিক বাজারের সাথে সংযুক্ত করতে হবে। আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং প্রযুক্তিগত ট্রান্সফার দেশীয় স্টার্টআপগুলোর জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। এর মাধ্যমে তারা বৈশ্বিক মঞ্চে নিজেদের উপস্থিতি জানাতে পারবে এবং নতুন নতুন বাজারে প্রবেশের সুযোগ পাবে।
  5. স্থানীয় চাহিদার উপর জোর: বাংলাদেশের স্টার্টআপগুলোর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো স্থানীয় সমস্যাগুলোর সমাধান করা। দেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে কৃষি, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং পরিবহন ক্ষেত্রে স্টার্টআপগুলোর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ, কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে কৃষকদের জন্য নতুন সমাধান প্রদান করা সম্ভব। 

সরকার এবং প্রাইভেট সেক্টরের ভূমিকা

স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতেরও ভূমিকা অপরিসীম। বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে আইসিটি ডিভিশন এবং স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড এর মাধ্যমে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। 

  • স্টার্টআপ বাংলাদেশ: ২০২০ সালে চালু হওয়া স্টার্টআপ বাংলাদেশ প্ল্যাটফর্মের লক্ষ্য হলো তরুণ উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ এবং প্রশিক্ষণ প্রদান করা। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সরকার স্থানীয় স্টার্টআপগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থায়ন এবং মেন্টরশিপ সেবা প্রদান করে থাকে।

বেসরকারি খাতেও বিভিন্ন কোম্পানি এবং সংস্থা স্টার্টআপগুলোর উন্নয়নে কাজ করছে। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন ইনকিউবেশন প্রোগ্রাম এবং হ্যাকাথনের মাধ্যমে উদ্ভাবনী ধারণাগুলোর উত্থান ঘটাচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, গ্রামীণফোনের জিপি অ্যাকসেলারেটর প্রোগ্রাম তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য একটি বড় প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে।


উদাহরণ হিসেবে সফল স্টার্টআপ

বাংলাদেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম থেকে উঠে আসা কিছু সফল উদাহরণ আমরা ইতোমধ্যে দেখেছি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি:

পাঠাও: রাইড-শেয়ারিং এবং লজিস্টিকস সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, যা বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতে অন্যতম সাফল্যের উদাহরণ। পাঠাও তার সেবার মাধ্যমে পরিবহন এবং ডেলিভারি সেবায় নতুন মাত্রা এনেছে।

চালডাল: অনলাইন গ্রোসারি প্ল্যাটফর্ম চালডাল, যা অত্যন্ত দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রাহকদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে ই-কমার্স খাতে একটি বিপ্লব ঘটিয়েছে। 

শিখো: একটি এডুটেক স্টার্টআপ, যা শিক্ষার্থীদের অনলাইন শিক্ষা সেবা প্রদান করছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ডিজিটাল শিক্ষাকে জনপ্রিয় করে তোলার ক্ষেত্রে শিখোর ভূমিকা প্রশংসনীয়।

উপসংহার

বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতের স্টার্টআপ সংস্কৃতি আজ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময় পার করছে। তরুণ উদ্যোক্তারা নতুন নতুন উদ্ভাবন নিয়ে আসছেন এবং বিভিন্ন খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনছেন। যদিও কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তবে বিনিয়োগ, পরামর্শ এবং প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে এগুলো কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। সরকারের সহায়তা এবং বেসরকারি খাতের সহযোগিতার মাধ্যমে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমকে আরও শক্তিশালী করে তোলা যাবে।

ভবিষ্যতে বাংলাদেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম কেবল দেশের অভ্যন্তরে নয়, বৈশ্বিক স্তরেও প্রতিযোগিতা করতে সক্ষম হবে বলে আশা করা যায়। প্রযুক্তি খাতের এই বিপ্লব বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সামাজিক পরিবর্তনে গভীর প্রভাব ফেলবে, যা এক নতুন দিগন্তের সূচনা করবে।

বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতের এই উত্তরণের পথে স্টার্টআপগুলোর ভূমিকা নিয়ে আমরা অত্যন্ত আশাবাদী, কারণ এটাই হতে পারে দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের অন্যতম প্রধান চালিকা শক্তি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন